পার্টির উদ্দ্যোগে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্স বক্তব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমীপে এলডিপির ২১
দফা

ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অবঃ)
তারিখ : ১৪ইং জানুয়ারী, ২০০৮ ইংরেজী

বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিগত এক বত্‍সরে অনেকগুলি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন৷ যা আগামী দিনে রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী, ব্যবসায়ী সমাজসহ প্রায় প্রত্যেক নাগরিকের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ আমরা নিজেও বিগত কয়েক বত্‍সর যাবত জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী, দুনীতিবাজ, সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রাম করে আসছি৷ আমাদের মূল ল্যই ছিল, এদেশের গরীব মেহনতী মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন, দেশের উন্নতি সাধন, সর্বেেত্র জবাবদিহিতা, স্বচ্চতা এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা৷ সর্বোপরি মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে দেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও শক্তিশালী করা৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন আমাদেরকে অনেকে ভুল বুঝেছিল, বিদ্রোপ করেছিল, বাস্তবতা হল, কিছু দুনীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি এবং নেতাদের কারণে ২০০৭ সালে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিঘি্নত হয়েছে৷ ঐ অসহনীয় অবস্থা থেকে উত্তরণ, জনগণের মুক্তি এবং দুনর্ীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে রা করার জন্য, আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই৷ ফলশ্রুতিতে ১১ই জানুয়ারী দেশে জরুরী অবস্থা জারী হয় এবং ১২ই জানুয়ারী বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার মতা গ্রহন করেন৷ বিরাজমান অসহনীয় পরিস্থিতি, অনিশ্চয়তা ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে জনগণ মুক্তি পায় এবং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিগত ১ বত্‍সরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত সংস্কার সাধন করেছেন, তা কোন রাজনৈতিক দলের প েখুবই সহজ সাধ্য ছিল না৷ যেমন- বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ একটি যুগান্তকারী পদপে৷ তবে তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে৷ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যে অনেকগুলি আভ্যন্তরীণ সংস্কার সাধন করেছেন৷ আশা করি তারাও স্বাধীনভাবে কাজ করে দেশের প্রশাসনকে আরো গতিশীল এবং রাজনীতি মুক্ত রাখার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন৷ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যাপারে, এখনো নতুন অধ্যাদেশ জারী করা হয় নাই৷ কিন্তু ইতিমধ্যে তাদের কিছু কিছু পদপে জনমনে সংশয় এবং সন্দেহ সৃষ্টি করেছে৷ কিছু কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নতুন নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে৷ আগামী দিন দেশ কিভাবে চলবে এবং কারা পরিচালনা করবেন, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের সঠিক পদক্ষেপের উপর ৷ অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত এবং স্বাধীন হতে হবে ৷

 চট্টগ্রাম বন্দর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারী এবং আধাসরকারী সংস্থায় অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে৷ ধীরে ধীরে তাদের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে৷ দুদককে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে দুদক অনেক প্রশংসনীয় কাজ করেছে৷ দুনীতিবাজ ও জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে৷ ফলে আগামী শত বত্‍সর পরেও দুনর্ীতিবাজরা সহজে দুনর্ীতিতে জড়িয়ে পড়বেনা বলে, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস৷ তবে ল্য রাখতে হবে যে, কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিদের যেন সুনাম ুণ্ন না হয় ৷
সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, অহেতুক ও অধিক মুনাফা লাভের জন্য যারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে, তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু এবং ইসলাম ধর্মের শত্রু৷ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এবং নাগরিককে এই ব্যাপারে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে৷ তবে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা পুঁজি জমা করে দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, পুঁজি বিনিয়োগ করছেন এবং নিয়মিত কর পরিশোধ করছেন, তাদের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত ৷

 
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে, দেশের প্রায় শতকরা ৯৫ শতাংশ মানুষ দিশেহারা এবং তিগ্রস্থ হয়েছে৷ ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান এবং সেনাবাহিনী প্রধান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু কিছু প্রশংসনীয় পদপে গ্রহণ করেছেন৷ আমাদের প্রত্যাশা সরকার এ ব্যাপারে আরো সুদুরপ্রসারী কার্যকরী পদপে গ্রহণ করবেন৷ আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, দেশের রপ্তানী হ্রাস পেয়েছে, আমদানী বৃদ্ধি পেয়েছে, বহু মিল কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ শিল্প খাতের উত্‍পাদন হ্রাস পেয়েছে৷ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানী বিগত বত্‍সরগুলির তুলনায় হ্রাস পেয়েছে৷ দারিদ্রাবস্থা প্রকট এবং বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যা অর্থনীতির জন্য মোটেও শুভ নয়৷ শুধু ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেলে হবে না৷ এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোন মাপকাঠি নয়৷ এছাড়াও পদত্যাগকারী দুই জন উপদেষ্টা দেশের অনেক তি করেছে৷ তারা নিজের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রতিনিয়ত মতার অপব্যবহার করেছে৷ কাণ্ডজ্ঞানহীন বিতর্কিত বক্তব্য রেখে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলিকে সরকারের প্রতিপ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে৷ জনমনে অনেক বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে৷ যত শীঘ্র সম্ভব আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ৷
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়াভাবে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তাদের অনেকে এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে৷ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে এবং অস্ত্র মামলাগুলি তড়িত্‍ গতিতে নিষ্পত্তি করা না হলে, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে৷ অনেকের ধারণা জুন মাস বর্ষাকাল, সুতরাং নির্বাচন সম্ভব নয় ৷

অতীতে এদেশে জুন মাসে এবং সেপ্টেম্বর মাসেও নির্বাচন হয়েছে৷ ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হয়ে যায়৷ আবার অনেকের ধারণা, জরুরী অবস্থা তুলে নিলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হবে ৷ তাদের মতামতের সাথে আমরা একমত নই৷ আমরা মনে করি, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে, জনগণ নির্বাচনমূখী হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলি নিজস্ব সংগঠন গোছানোর ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন৷ সর্বোপরি, সাধারণ জনগন এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্তা ফিরে আসবে৷ ফলে দ্রব্যমূল্যসহ দেশের অন্যান্য সমস্যাগুলি আপন গতিতেই সমাধানের পথে ধাবিত হবে৷ অধিকিন্তু রাজনৈতিক দলগুলিও পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় অধিকতর সচেতন, আমারা মনে করি গণতন্ত্র ব্যাহত করার মত কোন পদপে তারা কখনো গ্রহন করবেন না৷ নিজের ভাল মন্দ সবাই বোঝেন৷ সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আনার জন্য প্রয়োজন, যত শীঘ্র সম্ভব ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি এবং পর্যায়ক্রমে জরুরী অবস্থা তুলে নেওয়া ৷
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমান সরকারের দুনীতি বিরোধী আন্দোলন এবং অন্যান্য সংস্কার কর্মসূচীগুলি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ধারণ করবেন এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন৷ অন্যথায় তারাও জনগণের কাছে ধীকৃৃত এবং আস্তাকুড়ে নিপ্তি হবেন৷ এল.ডি.পি’র প থেকে, আমরা সরকারকে আশ্বস্থ করতে চাই যে, এল.ডি.পি’র প্রত্যেকটি সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের প্রশংসনীয় কাজগুলি ধারণ করবেন এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন৷

এলডিপি’র প থেকে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং সুপারিশ সমূহ

১৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয় মতার মধ্যে নিয়ে আসার পদপে গ্রহন৷ ব্যবসা বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া৷ রাতারাতি সবকিছু বিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়৷ জোরপূর্বক কিছু করলে তা কখনো স্থায়িত্ব লাভ করে না৷
২৷ বর্তমানে অর্থনীতিতে যে মন্দা ভাব সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠে গতিশীল করার ব্যবস্থা গ্রহন৷
৩৷ সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ইত্যাদি সঠিক সময়ে বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া৷ বিশেষভাবে সেচ ব্যবস্থার কাজে ব্যবহৃত পানির পাম্পের বিদুত্‍ সংযোগ নিশ্চিতকরণ৷
৪৷ দেশীয় শিল্প কলকারখানা সুরা করার ব্যবস্থা এবং দভাবে পরিচালনা করার পদপে নেওয়া৷
৫৷ শিা প্রতিষ্ঠানের অস্থিরতা নিরসন করা এবং ছাত্রদের শিক্ষার দিকে মনোযোগী করার পদপে গ্রহন৷
৬৷ সংবাদ পত্র এবং টেলিভিশনগুলিকে সংবাদ পরিবেশন এবং প্রচারে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ৷ তবে কোন অবস্থাতেই দায়িত্বহীনতা নয়৷
৭৷ বাংলাদেশ বেতারকে বেসরকারিকরণ করা৷
৮৷ স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষার ব্যাপারে সকল স্তরের জনগণের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা৷
৯৷ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা এবং সম্মান প্রদর্শন করা৷
১০৷ সুশাসন প্রতিষ্টার লক্ষে প্রশাসনকে অধিকতর গতিশীল এবং রাজনীতিমুক্ত রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনে নতুন অধ্যাদেশ জারী করা৷
১১৷ অবৈধ অস্ত্রসমূহ উদ্ধারের জন্য কার্যকরী পদপে গ্রহন করা৷
১২৷ অস্ত্র সংক্রান্ত মামলাগুলি জরুরী বিধিমালার আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা, অন্যথায় ভোটার পরিচয় পত্র প্রদানের পরও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে৷
১৩৷ যুদ্ধ অপরাধী, দুনর্ীতিবাজ এবং কালো টাকার মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করে, তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা৷
১৪৷ ঢাকঢোল না পিটিয়ে, সমাজের সর্বস্তরে অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা সৃষ্টি না করে স্বাভাবিক নিয়মে দুনর্ীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা৷
১৫৷ শুধু রাজনীতিবিদ নয়, সমাজের সকল স্তরে লুকিয়ে থাকা কর ফাঁকিবাজ এবং দুনর্ীতিবাজদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা৷ উদাহরণ স্বরূপ কর ফাঁকিবাজদের েেত্র দশগুণ বেশি জরিমানা আদায় করা, জেল নয়৷
১৬৷ প্রতিটি েেত্র এবং প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা৷ প্রয়োজনে ন্যায়পাল নিয়োগ দেওয়া৷
১৭৷ নির্বাচনী ব্যয় হ্রাস করার কার্যকরী ও বাস্তব সম্মত পদপে নেওয়া৷ নির্বাচনী মামলাসমূহ নির্বাচন শেষ হওয়ার তারিখ হইতে ১ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা নেওয়া৷
১৮৷ সমগ্র দেশে ঘরোয়া রাজনীতি আরম্ভ করার অনুমতি এবং জরুরী আইন তুলে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা৷
১৯৷ বিগত ৩৭ বত্‍সর যাবত বর্তমান নির্বাচনী এলাকাসমূহ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন বিরোধ হয় নাই৷ বিশেষ করে ১৯৯১ সালের পর অদ্যবধি ৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি ঐ সমস্ত নির্বাচনসমূহে অংশগ্রহন করেছে৷ কাহারো কোন আপত্তিও ছিল না৷ সুতরাং বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে নতুনভাবে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের নামে সংকট সৃষ্টি করে, নির্বাচন বিলম্বিত করা সঠিক হবে না৷
২০৷ নির্বাচন কমিশনের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপে, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করা৷ সংকট সৃষ্টি করা নয়৷
২১৷ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করার কার্যকরী পদপে গ্রহন করা৷ এতে করে জনগণের মনে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হবে এবং সমগ্র জনগোষ্ঠী নির্বাচনমূখী হয়ে পড়বেন৷ সম্ভব হলে জুন, ২০০৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে৷ ফলে দ্রব্য মূল্যসহ অন্যান্য সমস্যাগুলি আপনাআপনি স্বাভাবিক গতিতে সমাধানের দিকে ধাবিত হবে৷ আগামীতে হয়তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তাও আর থাকবে না৷ বর্তমান সরকারের প েশান্তিপূর্ণভাবে মতা হস্তান্তর করার পথ নিষ্কণ্টক হবে৷
পরিশেষে আমাদের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ)-এর পাঁচটি ঐতিহাসিক উক্তি দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করতে চাই৷
#৬১৫৫৮; দেশের বিদ্বান ব্যক্তিগণ লোভী হলে কে দেশের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে ?
#৬১৫৫৮; দেশের নেতৃবৃন্দ ঐশ্বর্যের পেছনে ছুটলে সাধারণ মানুষ কাকে অনুসরণ করবে ?
#৬১৫৫৮; দেশের ব্যবসায়ীগণ অসাধু হলে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে ?
#৬১৫৫৮; দেশের সৈন্যদল দেখার শোভা হলে কে দেশ রা করবে ?
#৬১৫৫৮; দেশের প্রশাসন বিভাগীয় রাজকর্মচারীগণ এবং ন্যায়দণ্ডধারী বিচারকমণ্ডলী দায়িত্বহীন হলে কে নিপীড়িত জনগণকে রা করবে ?

১৫/০১/২০০৮ইং সালে দেওয়া এই বক্তব্য, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ডেসটিনি এবং ঞযব উধরষু ঝঃধত্‍ সহ অনেকগুলি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷

দৈনিক ইনকিলাব
৩১ জানুয়ারী, ২০০৮